, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


তিতুমীর কলেজে ছাত্র অধিকারের নেতাকে মারধর, নারীকর্মীকে হেনস্তার অভিযোগ

  • আপলোড সময় : ২৯-০৫-২০২৩ ০৯:০২:৩৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৯-০৫-২০২৩ ০৯:০২:৩৩ অপরাহ্ন
তিতুমীর কলেজে ছাত্র অধিকারের নেতাকে মারধর, নারীকর্মীকে হেনস্তার অভিযোগ
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক নূর মোহাম্মদ সুমনকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারধরের ভিডিও ধারণের ছাত্র অধিকার পরিষদের নারী সদস্য সুমাইয়া শারমিনকে আটকে ফোন ছিনিয়ে নেয়া ও হেনস্তার অভিযোগও উঠেছে কলেজ ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে।

সোমবার (২৯ মে) দুপুর আনুমানিক আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ছাত্র অধিকার পরিষদ সূত্রে জানা যায়, কলেজের শহীদ বরকত মিলনায়তনে তিতুমীর কলেজ আর্ট ক্লাবের প্রদর্শনীতে নায়েক নূর ও তার সংগঠন ক্লিন অ্যান্ড গ্রিন ক্যাম্পাসের সদস্যরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে কলেজের মূল ফটকের বাইরে আসলে কলেজ ছাত্রলীগের উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রিয়াদ মুন্সীসহ কয়েকজন কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী নূরের ওপর অতর্কিত হামলা করেন।

এতে কানে ও পায়ে আঘাত পান নূর। আহত অবস্থায় তাৎক্ষণিক ভুক্তভোগীকে মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে (নূর) সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

তবে রিয়াদ মুন্সী অভিযোগ অস্বীকার করে বিডি২৪রিপোর্টকে বলেন, আমি মারধর করিনি। উনি (নূর) ক্যাম্পাসে ছেলেপেলে নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিল। আমার এক বন্ধুকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে। পরে আমি সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বলেছি, ভাই ঘোরাঘুরি করিয়েন না, আপনি চলে যান। শুধু শুধু ঝামেলা পাকিয়ে লাভ কী! উনি উল্টো আমাকে বলেন, কেন যাব? আমি বললাম ভাই আপনিও মানুষ, আমিও মানুষ। তারপরও সে যাচ্ছে না। উল্টো আমাকে ধাক্কা দিল।

কলেজ ছাত্র অধিকার পরিষদের নারী সদস্য সুমাইয়া শারমিন বলেন, নূরের ওপর হামলার ভিডিও করায় আমাকে প্রায় আধা ঘণ্টার মতো আটক করে রাখা হয়। মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভিডিও, ছবিগুলো মুছে ফেলা হয়। অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে আমাকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তারা। পরে আমি চিৎকার দিলে আরেক ভাই আমার ফোন নিয়ে ভিডিও মুছে দেয় এবং আমার হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার সব চেক করে। আমি যখন বলি, আমাকে আপনারা এভাবে ঘিরে রেখেছেন কেন, তারা বলে তোমাকে তো দিনের বেলা ঘিরে রেখেছি, রাতের বেলা তো রাখিনি। আমি যখন বলি, আপনারা এভাবে কথা বলছেন কেন, তারা বলে, ‘ডার্লিং তোমার সঙ্গে আর কীভাবে কথা বলব।’

বিষয়টি নিয়ে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মায়ের অসুস্থতার জন্য ঢাকার বাইরে রয়েছেন। কলেজের মারামারির বিষয়টি তিনি অবগত নন। বিষয়টি নিয়ে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

তবে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মোড়লের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

ক্যাম্পাসে ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক নূর মোহাম্মদ সুমনকে মারধর করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ ফেরদৌস আরা বেগম বলেন, ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটেছে সেটা এখনো আমি জানিনি। আমার কানে এখনো বিষয়টি আসেনি। তবে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। আমি এ ধরনের ঘটনা সাপোর্ট করছি না। আসলে এ ধরনের মারামারি হওয়া উচিত না। কিন্তু কেন হয়েছে সেটা আগে আমাকে জানতে হবে। আমার মনে হয় না সেরকম কিছু ঘটেছে।
সর্বশেষ সংবাদ